আমাদের পরবর্তী সংখ্যায় লেখা পাঠাতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ এ ইনবক্স করুন অথবা ইমেইল করুন Ghuri2014@hotmail.com এই ঠিকানায়।

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মিশর রহস্য - আশরাতুল সৈকত (১ম সংখ্যা)



আজকের এই আধুনিক যুগেও পিরামিড এক দুজ্ঞেও কিংবদন্তী। কি করে নির্মিত হয়েছিল পিরামিড সঠিক ধারনা কেউ করতে পারে না। মিশরের পিরামিড গুলোর মধ্যে ‘শিঅপস’ পৃথিবী বিখ্যাত। ‘শিঅপস’ পিরামিডের উচ্চতাকে ১০০ কোটি দিয়ে গুণ করলে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের সমান অর্থাৎ নয় কোটি ত্রিশ লক্ষ মাইল হবে। পিরামিডটির মাঝখান দিয়ে একটি মধ্যরেখা টানা হলে ওটা মহাদেশ ও মহাসাগর গুলোকে সমান দুই ভাগে ভাগ করবে। এর ভূমির ক্ষেত্রফলকে এর উচ্চতার দ্বিগুণ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যাবে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত ৩.১৪১৫৯। পৃথিবীর ওজনের হিসাবও পাওয়া গেছে এখানেই। পিরামিড নির্মিত হয়েছে পাথুরে জমির উপর। অনেক যত্নে নিখুঁতভাবে আনুভূমিক করা হয়েছে জমিটুকুকে। কে এসব শিখিয়েছিল পিরামিড নির্মাতাদের? প্রাচীন ইঞ্জিনিয়াররা কি অংকে এতই পারদর্শী ছিল? সঠিক জবাব কেউ দিতে পারবেনা। আজকের অতি আধুনিক প্রয়োগ কৌশল হাতে নিয়েও ‘শিঅপস’ তো দূরের কথা একটি সাধারণ পিরামিডের দুর্বল নকলও কেউ করতে পারছেনা। বোঝাই যায় পিরামিডের নকশা করার পেছনে কাজ করেছে এক অকল্পনীয়ও শক্তিশালী কোন মাথা। এই মাথা প্রাচীন মিশরীয়দের হতে পারে। তাহলে কে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ? মোট ২৬০০০০০ পাথর লেগেছে শুধু ‘শিঅপস’ তৈরিতেই। পাথরগুলোর জোড়ার মাঝের ফাঁক এতই সূক্ষ্ম যে দুটো জোড়ার মধ্যকার ফাঁক এক ইঞ্চির প্রায় এক হাজার ভাগের এক ভাগ। তাছাড়া হিসেবে দেখা গেছে, ছাব্বিশ লাখ পাথর সাজিয়ে ‘শিঅপস’ তৈরিতে সময় লেগেছে সাতশো বারো বছর। অতদিন কি ‘শিঅপস’ পিরামিডের নির্মাতা কারাও খুকু বেঁচে ছিলেন? নিশ্চয়ই না! তবে কি এর রহস্য? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে প্রতিটি পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছে কোন না কোন তারার অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। কিন্তু মিশর সভ্যতার প্রথম দিকে জ্যোতির্বিদ্যার কোন নজির পাওয়া যায় নি। এছাড়া ‘লব্ধক’ নামে একটি তারার প্রতি মিশরীয়দের আগ্রহ ছিল অসীম। নীলনদে যখন বন্যা নামে, মেমফিস থেকে ভোরবেলা দিগন্তের কোলে দেখা দেয় ‘লুব্ধক’। খ্রিষ্টপূর্ব চার হাজার দুশো একুশ বছর আগেকার একটি ‘লুব্ধক’ পঞ্জিকা পাওয়া গেছে। তাতে বত্রিশ হাজার বছরের ও বেশি বর্ষ আছে কিন্তু মিশরীয়রা এত সময় ধরে আকাশের দিকে চেয়ে থাকার সময় পেলেন কোথা থেকে? কি রহস্য লুকিয়ে আছে এর পিছনে? তাছাড়া মমিকৃত দেহগুলোর মধ্যেও দেহকোষ গুলো জীবিত থাকে কীভাবে? কি গভীর রহস্য আছে এর পিছনে? বিজ্ঞানীরা আজো এর সমাধান বের করতে পারে নি। এ রহস্যের সমাধান জানা আছে শুধু সেই প্রাচীন মিশরীয়দের।