শহরে শহরে খবর রটিয়ে দাও-
এখন থেকে লাগাতার অবরোধ।
মহামান্য কবিপতির বিশেষ
ক্ষমতাবলে প্রজ্ঞাপন জারি করো এই মর্মে-
“এখন থেকে কবিতাই আইন”
যতদিন না জাগছে ওদের
বেশ্যার যোনিতে আটকে যাওয়া বোধ।
ধারালো অক্ষরে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘেরাও করো খুনিদের
বাড়ি;
নিতম্বে খাপখোলা কলম ঠেকিয়ে
বাধ্য করো মহাকাব্য লিখতে;
ওদের বুঝিয়ে দাও,
কবিতায় পুড়ে মরার কষ্ট কি
নির্মম! কি অসহ্য!
কবিতা লেখার নাম করে ধর্ষকের পা চাটতে গেছে যেসব কুকুরছানা;
ওদের সবার পেছন দিয়ে সেদ্ধ
কবিতা প্রবেশ করাও।
কবিতার একটা অক্ষরও যদি কেউ ভাংচুর করে,
শব্দ কিংবা বাক্য দিয়ে
পিটিয়ে থেঁতলে দাও তার মগজ এবং
তাকে সোপর্দ করো প্রেমিক
বাহিনীর কাছে।
উড়ন্ত চুমুর বদলে কাউকে উড়ন্ত মৃত্যু ছুঁড়ে দিতে দেখলে,
অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করো
এবং বিচারের ব্যবস্থা করো।
মাত্রাবৃত্ত ধারায় দোষী
সাব্যস্ত করে ঘোষণা করো, যাবজ্জীবন কাব্যদন্ড
কিংবা আমৃত্যু কবিতায়
ঝুলিয়ে রাখার রায়।
খুনিরা কেবলই ভাবে, দেশটা ওদের; কবিরা সবাই মরে গেছে প্রায়।
রাহুর হাত থেকে ভাষা
বাঁচাতে আমার ভাই মরে গেছে,
পিতার জীবন বেচে কিনেছি এ
দেশ; ওরা ভুলে
গেছে, ওরা ভুলে
যায়।